বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহম🦂ানকে 'মুছে ফেলতে' চেষ্টায় যেন এতটুকুও খামতি রাখতে রাজি নয় আজকের মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশ! আগেই খবর এসেছিল, সেদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পাঠ্যসূচিতে বড়সড় বদল আনা হচ্ছে।
আর এবার জানা গেল, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুলে পড়ানোর জন্য নতুন যে পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা 𝓡জিয়ার প্রয়াত স্বামী জিয়াউর ღরহমান! ইতিহাসের সেই অবিস্মরণীয় অধ্যায় থেকে বঙ্গবন্ধুকে স্রেফ বাদ দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে!
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এত 🐲দিন বাচ্চাদের যে বই স্কুলে পড়ানো হত, তাতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষক হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামই উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু, এবার সেই ইতিহাসই বদলে দেওয়ার পথে এগোল বাংলাদেশের বর্তমান ⭕অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা বিভাগ!
২০১০ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদ💟েশের স্কুলগুলিতে যে পাঠ্যপুস্তক পড়ানো হত, তাতে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল পাকিস্তানি সেনার হাতে ধরার পড়ার আগে ১৯৭১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধꦬীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষণা করেছিলেন হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে আরও জানানোও হয়েছে, নতুন পাঠ্যবইয়ে কোথাও শেখ মুজিবুর রহমানকে 'জাতির জনক' হিসাবে উল্লেখ করা হয়ন💜ি। অথচ, এত দিন সেটাই করা হত।
বাংলাদেশের জাতীয় পাঠ্💝যসূচি এবং পাঠ্যপুস্তক পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, স্কুলের নতুন পাঠ্যবইয়ে লেখা থাকবে, '১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়🏅াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলেন। এবং এর পরদিন, অর্থাৎ - ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আরও একটি ঘোষণা করেছিলেন তিনি!'
বিষয়টি নিয়ে লেখক ও গবেষক রাখাল রাহার বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন 🐠ও সংশোধন আনার জন্য এই রাখাল রাহার উপরেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা পাঠ্যবইগুলি থেকে 'অতিরিক্ত এবং চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসে♌র' ভার লাঘব করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, 'যাঁরা পুরোনো পাঠ্যবইগুলির মূল্যায়ন করেছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সংক্রান্ত বঙ্গবন্ধꦺুর ওয়্যারলেস বার্তা আদৌ কোনও সত্য-নির্ভর ইতিহাস নয়। কারণ, সেই সময় তিনি পাকিস্তানি সেনার হাতে বন্দি ছিলেন। সেই কারণেই ওই অংশটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।'