দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে এক দন্ত চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিশের দাবি, পথ 🦩দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অমর্ত্য ঘোষাল নামে ওই চিকিৎসকের। তবে পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করলেও কোনও তদন্তই করা হয়নি বলে অভিযোগ। সে সংক্রান্ত মামলাতে ⭕মৃত্যুর রহস্য ভেদ করতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আইনজীবীদের কাজে বাধা, ফতোয়া🔴 না মানলেই বহিষ্কারের হুমকি, রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাট💟ি ঘটেছিল ২০২৪ সালের জুন মাসে। ওই চিকিৎসকের একটি চেম্বার রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। তিনি পূর্ব কলকাতা টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা। যাদব𒉰পুরের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে তিনি যৌথভাবে এই চেম্বার চালাতেন। ২০২২ সালের বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ থেকে বিডিএস করেছিলেন চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই চিকিৎসক মহিলাকে বাইকে করে সঙ্গে নিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হয়ে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুজনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। চিকিৎসকের পরিবারের𓆏 অভিযোগ, মহিলা হেলমেট পরে ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তিনি সেভাবে আঘাত পাননি। অথচ হেলমেট পরে থাকা সত্ত্বেও অমর্ত্য ঘোষাল মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তাঁর মাথার হাড় দু'ট🐼ুকরো হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের অভিযোগ, প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে পড়েছিল অমর্ত্যর দেহ। পরে তাঁকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ শরীরে কোনও আঘাত না থাকা ﷽সত্ত্বেও মহিলাকে অন্য হাসপাতালে স✤্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে।
নিম্ন আদালতে রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ দাবি করে যে এটি পথ দুর্ঘটনা। এরপরে পুলিশের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসকের পরি🅠বার। প্রথমে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চিকিৎসকের পরিবার। তার ভিত্তিতে এডিজি সিআইডিকে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।