পাঁচ বছরে একদিকে যেমন হাঁটতে শিখেছে HT বাংলা, তেমনই অন্যদিকে সাবালক হয়েছে স্বাস্থ্য প্রযুক্তির জগত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসার পর থেকে চিকিৎসাব্যবস্থায় আমূল বদল এসেছে। কমেছে মৃত্যুহার, অস্ত্রোপচারসহ নানা জটিলতা। পাঁচ༒ বছরে কীভাবে বিশ্বের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বদল আনল প্রযুক্তি? পাঁচ বছর পেরিয়ে সেসব ফিরে দেখল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
গত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্য প্রযুক্তি (হেলথটেক) ক্ষেত্💞রে বিভিন্নꦚ উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন এবং উন্নতি হয়েছে, যা চিকিৎসা সেবা, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন হলো:
১. টেলিমেডিসিন (Telemedicine): কোভিড-১৯ মহামারির পর, টেলিমেডিসিনে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। এতে ডাক্তার ও রোগী দূরত্ব থেকে ফোন বা ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্♓শ নিতে পারছেন। এতে গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানো সহজ হয়েছে এবং সময় ও অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।
২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) ব্যবহার: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে চিকিৎসকরা এখন দ্রুত এবং আরো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারছেন। যেমন,🥀 ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের সঠিক সনাক্তকরণে AI প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া🎉, AI ভিত্তিক চিকিত্সার জন্য স্বয়ংক্রিয় উপকরণ তৈরির কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।
৩. ডিজিটাল স্বাস্থ্য পোর্টাল (E-Health Portals): ডিজিটাল স্বাস্থ্য পোর্টালগুলি রোগীদের স্বাস্থ্য রেকর্ড ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে এবং সেগুলিকে সহজে অ্যাক্সে൩স করতে সহায়তা করছে। এর মাধ্যমে রোগী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে তথ্য শেয়ারিং সহজ হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় মেডিকেল ডেটা দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে।
৪. পরিধানযোগ্য স্বাস্থ্য যন্ত্র (Wearable Health Devices): ফিটনেস ট্র্যাকার এবং স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই ডিভাইসগুলি হার্ট রেট, স্টেপ কা🐼উন্ট, এবং স্লিপ প্যাটার্ন মনিটর করতে সক্ষম, যা স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে সাহায্য করছে। আরও কিছু ডিভাইস রক্তচাপ, গ্লুকোজ এবং অক্সিজেন স্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সূচকও ট্র্যাক করতে পারে।
৫. জেনেটিক এবং বায়োমেডিকেল রিসার্চ: জেনেটিক সিকোয়েন্সিং এবং বায়োমেডিকেল গবেষণায় গত পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই প্রযুক্তি রোগের দ্রুত সনাক্তকরণ𓆏, কাস্টমাইজড চিকিৎসা (প্রত্যেক রোগীর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা) এবং সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করতে সহায়তা করছে। ক্যান্সার এবং জেনেটিক ডিসঅর্ডারের মতো রোগের নিরাময়ে নতুন থেরাপির সন্ধান মিলেছে।
৬. রোবোটিক সার্জারি: রোবটিক সার্জারি, যা মিনিমাম ইনভেসিভ সার্জারি (কমপ্লেক্স সার্জারির জন্য ছোট খুঁটি বা কাট) ত্বরান্বিত করেছে, তা আরো নিখুঁত, দ্রুত এবং কম ব্যথাযুক্ত সঞ্চালন করতে সক্ষম। এটি রোগীকে দ্রুত সুস্থ ༺হতে সাহায্য করছে এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় কমাচ্ছে।
৭. ব্লকচেইন প্রযুক্তি: স্বাসꦚ্থ্য সেবা ব্যবস্থায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর স্বাস্থ্য তথ্য সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে। এটি স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে, যাতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য তথ্যের অপব্যবহার না হয়।
এই উদ্ভাবনগুলি স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করছে এবং বা﷽ংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এটি সাশ্রয়ী ও দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।