টি২০-র আমলে নাকি ওডিআই-ও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। আর টেস্ট ক্রিকেট তো নাকি 'মৃত'। তবে ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতে সাম্প্রতিককালে টেস্ট দেখতে মাঠে দর্শকদের ঢল দেখা গিয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে বিগ ব্যাশ এবং আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটের চমকের মধ্যে টেস্ট কিছুটা হলেও পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতেও। তবে মেলবোর্নের বিশালাকায় মাঠে বক্সিং ডে টেস্ট একটা 'রীতি'। সেই এমসিজি-তে অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারতের টেস্ট ম্যাচে দর্শক সংখ্যার রেকর্ড ভেঙে গেল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একটি টেস্ট ম্যাচে সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যার রেকর্ড এখন ২০২৪ সালের মেলবোর্নের নামে। এর আগের রেকর্ডটি তৈরি হয়েছিল ১৯৩৭ সালের জানুয়ারি মাসে। (আরও পড়ুন: ৩, ৬, ১০, ৩, ৯.💟.. বাংলাদেশের আশরাফুলকে 'হারꦍিয়ে' অজি ভূমে লজ্জার নজির রোহিতের)
আরও পড়ুন: 'কখনও ভাবিনি রোহ🔯িত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে এভাবে অবসর নিতে দেখব'
রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ মেলবোর্নে মোট দর্শক সংখ্যা ছিল ৬৬ হাজার। এর ফলে আজ এই টেস্ট ম্যাচে পাঁচদিন মিলিয়ে মোট দর্শক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার। এর আগে একটি গোটা টেস্ট ম্যাচ জুড়ে সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যা ছিল ১৯৩৭ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে। সেই ম্যাচে সব মিলিয়ে সাড়ে তিন লাখ দর্শক মাঠে এসেছিল। সেই ম্যাচটিও মেলবোর্নে হয়েছিল। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্র্যাডম্যান ২৭০ রান করেছিলেন মাত্র ৩৭৫ বলে। ম্যাচটি অস্ট্রিলিয়া জিতেছিল। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্র্যাডম্যাꦫনের ২৭০ রানের ইনিংসকে 'সর্বকালের সেরা' বলে আখ্যা দিয়েছিল উইসডেন। সেই ইনিংস দেখতে মেলবোর্নে সেবার জনপ্লাবন নেমেছিল।
আর মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারতের এই চলতি টেস্টে 'সাপ-সিঁড়ি'র খেলা দেখতে পাঁচদিনের প্রতিটিতেই মানুষের ঢল নেমেছে মাঠে। ম্যাচের প্রথম দিনে ৮৭ হাজার ২৪২ জন দর্শক মাঠে এসছিলেন। ♎দ্বিতীয় দিনে মাঠে এসে খেলা দেখেন ৮৫ হাজার ১৪৭ জন দর্শক, তৃতীয় দিনে খেলা দেখতে আসেন ৮৩ হাজার ৭৩ জন। এরপর চতুর্থ দিন মাঠে দর্শক সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ৮৬৭। এবং আজ চাপানের বিরতির আগে পর্যন্ত মাঠে থাকা দর্শকের সংখ্যা ছিল ৬৬ হাজারের ওপরে। আজকের দিনের জন্যে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঢোকার জন্যে টিকিটের দাম ছিল ১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার করে। এদিকে শিশুদের জন্যে প্রবেশিধিকার ফ্রি ছিল। সাম্প্রতিককালে ক্রিকেট বোদ্ধাদের মধ্যে তর্ক হয় - অ্যাশেজ বেশি জনপ্রিয় নাকি বর্ডার গাভাসকর ট্রফি। সেই বিতর্কের হয়ত কোনও অন্ত নেই। তবে আপাতত অ্যাশেজের ৮৭ বছর পুরনো রেকর্ড ভাঙল বর্ডার গাভাসকর ট্রফি।